কল্পনা বিলাসীর মনে জল


সমুদ্রের জলের তাপমাত্রা বাড়ার ফলে জল হাওয়ার পরিবর্তন হয় -এমনকি দীর্ঘদিনের পরিচিত সময়সীমার পরেও বৃষ্টির দেখা মেলে না, আজ সমস্ত পৃথিবীতে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে তার ছোঁওয়া ভারতবর্ষেও এসে হাজির হয়েছ, রাজস্থানের পালোডিতে 19শে মে 2016 তে 510C তাপমাত্রা, আলোয়ার 1956 সালের রেকর্ড 50.60C আজ ধূলিস্যাত। এটা পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ার ফসল।কলকাতা এবং তার সংলগ্ন এলাকার ভূপ্রকৃতি একটু অন্যরকম,শস্য শ্যামলা গঙ্গা অববাহিকা; ওপরে একটা পুরো মাটির স্তর তার মধ্যে জল মেশানো বালির স্তর – জলের স্তর। ডিপ টিউবওয়েলে বসিয়ে সেই জল ওপরে তুলে আজ শহর ও শহরতলির বাসিন্দাদের ব্যবহারে জন্য যে জল সরবরাহ করা হচ্ছে তাতে জল নানাভাবে অপচয় হয়ে থাকে,দরকার না থাকলেও কল খোলা রাখা আর এখান সেখান পাইপের লিকেজ। কিন্তু ভূমিকম্পের ফলে যখন এই জল মাটি কাঁপতে থাকবে তখন তারা দ্রবণে পরিণত হবে। আর উপরের বিশাল বিশাল বাড়ি তরল কাদার ভিতর চলে যাবে যদিও সেটা খুবই সুদূর পরাহত। তাই কল্পনা বিলাসীর মনে জল এবং তার জলীয় দ্রবন অতি ভয়ঙ্কর আকার নিতে পারে

জল একটা স্বাদহীন বর্ণহীন তরল পদার্থ, বিশুদ্ধ জল অর্থাত যার মধ্যে কোন স্পেসিফিক কনডাকট্যাক্স 5.5µ Siemens / mt 25oC তে।তাই কোন স্থান যেমন শূন্য নয় জলও অপরিবাহী নয়মনের মধ্যে সিমেন্স নিয়ে উঁকি ঝুঁকি। µ ( মিউ ) = মাইক্রো।

অখিলেশ অফিসে থেকে ফিরে এসে চায়ের টেবিলে সান্ধ্য আসরে অর্পিতা আর অর্কর সাথে গল্পে মশগুল হয়ে পড়ল। অর্কর পড়ার পাঠ চুকে গেল। আর্পিতা ছেলেকে বলেই দিল - আজ আমরা গল্প করব, কারণ আগামীকাল তোমার স্কুল ছুটি আছে।অখিলেশের দিকে তাকিয়ে বলে বসলো ঐ সিমেন্সের কথা, ঐ স্পেশিফিক কনডাকট্যান্স একক লেখার সময় যা লেখা হয়। ও তাই বল - সে তো এখন পাল্টে গেছে। আগে 1881 পর্যন্ত লেখা হত তারপরে অনেক ঝড়ঝাপটা অতিক্রম করে আবার 1971 সালের থেকে শুরু হয়ে গেছে - তবে ohm কে উল্টে Moh করা হয়েছে - দুটো সমানভাবে ব্যবহার হয়ে থাকে ইউনিট লেখার সময়।

আরনেস্ট ওয়ানার ভ্যান সিমেন্স এর বরাত বেশ ভালই বলতে হবে - সারা বিশ্বে আজ সুপার কনডাকটিভিটি নিয়ে হইচই চলছে।জলের মতো কি পাতলা করা যাবে ধাতব যৌগকে ? ভ্যান মহাশয় কিন্তু পারদ নিয়ে কাজ শুরু করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। জার্মানির হানেভার শহরের সিমেন্সরা আদি বাসিন্দা। বাবা ফারদিনান্দ আর মা এলিওনর ডিচামান -এর চোদ্দ ছেলে মেয়ের মধ্যে ভ্যান সিমেন্স হল চতুর্থ। তার পড়াশুনা, অধ্যবসায় গবেষণা ও ব্যবসায় ঝুঁকি, নেওয়ার জন্যে তিনি পৃথিবী বিখ্যাত হয়েছিলেন। এই কনডাকট্যান্স ও টেলিকমিইনিকেশনের উত্পাদনের রেজিস্টান্যান্স ব্যবসায় উন্নতিকল্পে যা আজ সারা পৃথিবী জুড়ে প্রচুর গবেষণার হচ্ছে।

অর্পিতা কখন গরম গরম পকোড়া ভেজে নিয়ে এসেছে বুঝতেই পারেনি অখিলেশ - বাবা আর ছেলে দু’জনই গল্পে মগ্ন ছিল - অর্পিতা পকোড়া দিতে দিতে বলে - পৃথিবীর বৃহত্তম প্রাণীরা আদিম কাল থেকেই তৃণভোজী ছিল - এখনও তার প্রমাণ পাওয়া যায়। হাতি আর জিরাফকে চোখের সামনে দেখ। এরা দীর্ঘদিন বেঁচেও থাকে। অর্ক আর চুপ থাকতে পারল না - আচ্ছা বাবা সবচেয়ে বড়ো প্রাণীরাতো জলেই থাকে - ও তিমি মাছের কথা বলছ – হ্যাঁ, নীল তিমিরা আরও বড় হয়, কয়েকটা হাতির ওজনের সমান হবে তাদের ওজন - তবে তারা কারনিভোরাস। এই সব প্রাণীকুলই প্রকৃতির কোলে আপন আপন মত স্বভাবে দলবদ্ধভাবে বেঁচে থাক।

অখিলেশ অর্পিতার দিকে নজর সরিয়ে বলে - এখনও পর্যন্ত সব থেকে যে বড়ো নীল তিমি পাওয়া গেছে তার ওজন 171000 কিগ্রা, এবং লম্বায় প্রায় 90 ফুট। এই এত বড় প্রাণী যদি সমুদ্রে তার দলবল নিয়ে মজা করে আর তাদের সেই ভয়ঙ্কর চেহারা যখন প্রধান নাবিকের গতিপথে দুরবীণ বা আণুবিক্ষণীক যন্ত্রে ধরা পড়ে যায়, তখন তারা ভুলে যায় তিমির তৈরিতে জলের ফোয়ারা দেখার নান্দনিক দৃশ্য। সবচেয়ে বড়ো রেপটাইল মানে কচ্ছপরা ও লবণাক্ত সমুদ্রের কিনারায় থাকে। এখনও পর্যন্ত এরাই দীর্ঘদিন এই পৃথিবীর জল আলো বাতাসের অধিকারী। যদি মানুষের মত কথা বলতে পারত তাহলে হয়তো পৃথিবীর পুরানো অনেক অকথিত ঘটনা জানা যেত।

সমুদ্রকে রত্নাকর বলা হয় - তাই সমুদ্রকে অনুসন্ধান করতে পৃথিবীর প্রতিটি দেশ তত্পর। সমুদ্রের তলায় প্রাকৃতিক গ্যাস, তেল ও মূল্যবান ধাতব যৌগের খোঁজ পেতে চায় সকলেই। তবে প্রত্যেকে তার সীমানার মধ্যে আবদ্ধ থাকতে পারেনা - তাই মাছ ধরার ট্রলার, নাবিক ও মত্স্য জীবীদের প্রায়শই অন্য দেশ আটক করে। অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশের ভুলে আর পথ ভুলে।

সমুদ্রের জলের তাপমাত্রা বাড়ার ফলে জল হাওয়ার পরিবর্তন হয় -এমনকি দীর্ঘদিনের পরিচিত সময়সীমার পরেও বৃষ্টির দেখা মেলে না, আজ সমস্ত পৃথিবীতে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে তার ছোঁওয়া ভারতবর্ষেও এসে হাজির হয়েছ, রাজস্থানের পালোডিতে 19শে মে 2016 তে 510C তাপমাত্রা, আলোয়ার 1956 সালের রেকর্ড 50.60C আজ ধূলিস্যাত। এটা পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ার ফসল। দাবানল উত্তরোত্তর বেড়ে চলার জন্যে বাতাসে কার্বণ ডাই অক্সাইডের পরিমাণও বেড়ে চলেছে - গ্রিন হাউস এফেক্ট তত্বের ও তথ্যের শেষ নেই। প্রতিনিয়ত নিরন্তর গবেষণা হয়েই চলেছে কিন্তু বাতাসের গরমের পরিমাণ একমাত্র প্রকৃতিই কমাতে পারে, সমুদ্র তার জলীয় বাষ্প মেঘ হিসাবে পাঠিয়ে।

অর্কর চোখে ঘুমের ঢুলুনিতে অর্পিতা তাকে ঝাঁকুনি দেয় তার হাতটা নাড়িয়ে - বলে শোনা, স্থলভূমিতে যেমন সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ মাউণ্ট এভারেস্ট চাপের ফলে ছকোটি বছর আগে ঝাঁকি দিয়ে উপরে উঠে পড়েছিল, সেই রকম প্রশান্ত মহাসাগরে ডুবে আছে এর চেয়ে অনেক অনেক বড়ো পাহাড় মান্নার কিয়া।

জলই জীবন, নোওয়া তার নৌকা জলে ভাসিয়ে কিছু প্রজাতিকে বাঁচিয়ে রেখেছিল পৌরাণিক শাস্ত্রে বলা আছে - আজ স্থলভূমিতে সবাই তার আন্তরিক ভালবাসার সাক্ষী। ভালবাসাতেই অর্ক মায়ের কোলের মধ্যে মুখ লুকিয়ে বেশ ঘুমিয়ে পড়েছে।

অখিলেশ বলতে শুরু করে এবারের ফিল্ডের ছোটো ঘটনার কথা। ঝাড়খণ্ড - পুরুলিয়ার বর্ডার অঞ্চল বেশ পাহাড় জঙ্গল ঘেরা, আগের দিন রাত্রে অল্প বৃষ্টি হয়েছে - সূর্যবাবু মেঘের সাথে আড়ি ভাব খেলায় মুখ চাপা দিতে ব্যস্ত। গরম বেশ কম। গাড়ী চলেছে জঙ্গল পথ বেয়ে - গাছের আড়াল সরিয়ে মাটির ঘর, এক ঝাঁক মুরগীর চলন্ত উঠানকে ডাইনে বা বাঁয়ে রেখে। আদি বাসিন্দাদের আঙিনা ভেদ করে আরও ভিতর জঙ্গলে, গাড়ীর আওয়াজে জলে ঝাঁপিয়ে পড়ার আওয়াজ কানকে পরাস্ত করতে পারল না। তাকিয়ে দেখি একটা কালো মাথা জলে সাঁতার কাটছে -ঘোলাটে জলে। ভাঙ্গা সানবাঁধানো ঘাটের পাশে টাঙ্গানো দড়িতে ঝুলছে একটা মেলে দেওয়া শাড়ি। গাড়ির চালক স্থানীয় নয় - তাই তার চলার পথে সে এগিয়ে যায়। তাড়া আছে - আরও যেতে হবে - ম্যাপ বলছে ঝাড়খণ্ডে ঢুকে যাচ্ছি। তাই গাড়ির গতি কমিয়ে একই পথে ফেরা, রাস্তা ভুল, পুরানো ম্যাপ, অন্য কোন পথে যেতে হবে ছোট স্রোতের কাছে। আবার সেই একই আওয়াজ, সেই পুকুর, সেই জল, সেই কালো মাথা ভেসে আছে। ঘোলা জলে শরীর ডুবোনো। শাড়ি শুকনো হচ্ছে পতপত করে হালকা হওয়ায়, বাজনার সুর তুলে। ড্রাইভার তাকিয়ে ঘাটের দিকে দেখতে চায়, আমি বলি গাড়ি চালাও থামিয়ে রেখ না – মন ভাবতে থাকে জলই নারীর শরীরকে রক্ষা করেছে মানুষের চোখ থেকে। কতক্ষণ লাগবে কি জানি শাড়ি শুখনো হতে। অভাবী। আকাশের দিকে তাকিয়ে চোখে জল আসে - মেঘেরা ফাঁকি দেয় - শাড়ী শুকতে মায়ের মান বাঁচাতে চায়।

Source: Published at Gopalpur, Sarkarpool, South 24 Parganas, Pin -700143.

Path Alias

/articles/kalapanaa-bailaasaira-manae-jala

Post By: Hindi
×